কীভাবে কাস্টমার সাপোর্ট এবং কাস্টমারের আস্থা অর্জন করবেন?
১.প্রথমত পরিচিত গড়ে তুলতে হবে।
২.ধৈর্য্য নিয়ে কাস্টমার কে সেবা দেবার মানসিকতা থাকতে হবে।
৩.মানসিক চাপ সামলানোর ক্ষমতা থাকতে হবে।
৪.একজন ক্রেতা তখনি অনুগত বা লওইয়াল থাকবে বা বারবার ফিরে আসবে, যদি পন্য কেনার আগে এবং পরে তিনি ভালো ব্যবহার পান।পন্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা কাস্টমারের সন্তুষ্টি অর্জনের যথেষ্ট নয়।
৫.কাস্টমার রিলেশনশিপ হচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদে কাস্টমারের সাথে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত করা এবং গ্রাহকের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা।এতে বর্তমান গ্রাহকেরা বারবার কিনবে-এটাকে 'রিপিট পারচেজ ' বলে....
৬.মাঝে মাঝে কাস্টমার এর খোঁজ খবরও নিতে হয়।
কাস্টমার_সার্ভিস পর্ব - ১
যে কোন বিজনেসে মূল মন্ত্র এখানেই লুকিয়ে থাকে। দীর্ঘ সময় কাস্টমার ধরে রাখতে হলে কিছু বিষয়ে বিশেষ মনযোগ দিতে হব
১.কাস্টমার ইজ অলয়েজ রাইটঃ
কাস্টমারের সাথে কখনও তর্কে যাবেন না কোন বিষয়ে। পারলে তাকে পজিটিভলি উত্তর দিবেন নাহয় চুপ থাকবেন। সে কোন কিছু নিয়ে কমপ্লেইন করলে তা সমাধানের চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন, কাস্টমার খুশি তো আপনি খুশি।
২.ফার্স্ট প্রায়োরিটিঃ
কাস্টমার কে সব সময় বুঝতে দিতে হবে সেই আমাদের কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এই মনে করেন, ক্রাশ প্রথম বার নক দিলে যেমন আর্জেন্সি কাজ করে মনের মধ্যে তেমন কাজ করতে হবে আর কি ?
৩.সময়ের মূল্যায়নঃ
কথায় বলে; "টাইম ইজ মানি" বাস্তবিক অর্থেই কিন্তু তাই। কাস্টমার যা জানতে চাচ্ছে স্পেসিফিক উত্তর দিবেন। বেশি ঘুরিয়ে পেচিয়ে গল্প আকারে বলতে গেলে সেটা বিরক্তির কারনও বটে। এতে করে কাস্টমার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
কাস্টমার_সার্ভিস পর্ব - ২
১.বাচন ভঙ্গিঃ
প্রফেশনাল বলেন আর পার্সোনাল লাইফ সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পার্ট এটি। আপনার ইম্প্রেশন ক্রিয়েট করতে অস্ত্র হচ্ছে এটি।আপনার ভয়েস টোন/লেখার ধরন দেখে কিন্তু সহজেই আন্দাজ করতে পারবে আপনার কাস্টমার যে আপনি কতটা আগ্রহ নিয়ে তার সাথে কথা বলছেন। আপনার লেখার ধরন বা ভয়েস এ তাকে বুঝতে দিতে হবে আপনি তাদের উপস্থিতি তে কতটা আনন্দিত। সে আপনার থেকে কিছু না নিলেও আপনার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে একদিন না একদিন নিবেই ।
২.নেগেটিভ উত্তর পজিটিভলি দেওয়াঃ
ধরুন, কাস্টমার আপনার কাছে এমন কিছু আবদার করে বসলো যা আপনার পক্ষ্যে দেওয়া সম্ভব না। সেক্ষেত্রে আপনি তাকে সরাসরি "না" বলার পরিবর্তে পজিটিভলি বুঝিয়ে বলতে পারেন - "দিতে পারলে আমার খুবই ভালো লাগতো তবে এই মুহূর্তে দিতে পারছিনা বলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি" বলতে পারেন৷ এতে করে আপনি না বল্লেন কিন্তু সে আপনার ফেভারেই থাকবে ।
৩.সিম্প্যাথি নাকি এম্প্যাথিঃ
সিম্প্যাথি হচ্ছে - একে অন্যের প্রতি দয়া,করুনা দেখানো। দুঃখ ভাগ করে নেওয়া। অপরদিক এম্প্যাথি হচ্ছে - একে অন্যের জায়গায় নিজেকে রেখে তার প্রব্লেম গুলা অনুভব করা।সিম্প্যাথির থেকেও এম্প্যাথি অনেক গুন বেশি শক্তিশালী। তাই কাস্টমারের সাথে এম্প্যাথি দেখাবেন। সিম্প্যাথি না।
কাস্টমার_সার্ভিস পর্ব -৩
বিজনেস জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে নিজেদের কে অন্যের চেয়ে এক্সক্লুসিভ ভাবে উপস্থাপনের কোন বিকল্প নেই। কারন কি বলুন তো?
সবাই ই কিন্তু নিজের পন্য বা সেবা বিক্রি করতেই এসেছে তাইনা? তাহলে এতো বিক্রেতার মাঝে নিজেকে নিশ্চয়ই আলাদা ভাবে তুলে ধরতে হবে! রাইট? কিন্তু সেটা কিভাবে?
উত্তর হচ্ছে - আপনার কাস্টমার সার্ভিসের মাধ্যমে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেগুলা কি কি হতে পারে:
১.লিসেনিং(শোনা)
আমরা অনেকেই উত্তর দেওয়ার জন্য শুনি। কিন্তু আসলে আমাদের উচিত বোঝার জন্য শোনা এরপর উত্তর দেওয়া। একজন সফল উদ্দ্যোক্তার লিসেনিং স্কিল থাকাটা খুবই জরুরি। কাস্টমার আসলে কি বলতে চাইছে বা কি জানতে চাইছে সেই মোতাবেক উত্তর দেওয়
২.হাসিঃ
আপনার কথা বা লেখার ধরন এমন হবে যেন মনে হয় আপনি বেশ হাসি খুশি আছেন। এতে করে আপনার কাস্টমার ককমিউনিকেট করতে ইজি ফিল করবে+একটা পজিটিভ ইম্প্রেশন ক্রিয়েট হবে
৩.নমনীয়তা/বিনয়ীঃ
আপনাকে সব সময় কাস্টমারের কাছে বিনয়ী হতে হবে। সে রেগে গেলেও বা আপনাকে রাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাতে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা যাবেনা।
কাস্টমার_সার্ভিস পর্ব -৪
১.এথিকসঃ
এথিকস মানে এক কথায় বলতে পারেন নীতি। বিজনেসে এথিকস বলতে মুলতঃ এখানে যেগুলি ধরা হয় তা হচ্ছে –
২.প্রমিস-কিপিং(কথা দিয়ে কথা রাখা)
আর যাই হোক এখানে কখনও কম্প্রোমাইজ করবেন না। কাস্টমার কে যদি কোন কথা দিয়ে থাকেন তা যে কোন মূল্যে রাখার চেষ্টা করবেন। এতে করে ভরসার জায়গা তৈরী হবে।
৩.লয়ালিটি(সততা)
"সততাই সর্বৎকৃষ্ট পন্থা" এই কথাটি জানেন নিশ্চয়ই? একজন অসৎ ব্যক্তির থেকে কেনা তো দুরের কথা কেউ সম্পর্ক ই রাখবেনা তাইনা? তাই সততার সাথে কাজ করে যেতে হবে ।
৪.ট্রাস্টওর্দি(বিশ্বস্ত)
ধরুন একই পন্য নিয়ে ১০ জন কাজ করছেন। আপনি যখন ক্রেতা তখন ভাবুন তো কাকে বাদ দিয়ে কার থেকে কিনবেন? যাকে আপনি সব থেকে বেশি ভরসা করেন তার থেকেই তো নাকি? মানে আপনি তাকে বিশ্বাস করেন,সে আপনার কাছে ট্রাস্টওর্দি পারসন। তাই কাস্টমার ধরে রাখতে গেলে আর বিজনেসের সুনাম বজায় রাখতে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে ।
৫.কনসার্ন(পন্য/সেবা সম্পর্কে জ্ঞান)
কাস্টমারের যেকোন কুয়েশ্চেন/কুয়্যেরি থাকলে আপনি তখনই পরিপূর্ণ ভাবে তাকে সার্ভিস দিতে পারবেন যখন আপনার নিজের সেই বিষয়ে খুব ভালো দক্ষতা/জ্ঞান থাকবে। তাই প্রডাক্ট নলেজ রাখবেন ১০০%
৬.মাল্টি-টাস্কিংঃ
একজন উদদ্যোক্তাকে হতে হয় মাল্টি-টাস্কার। একই সাথে নানা বিষয় স্মুথলি হ্যান্ডেল করার ক্ষমতা যদি আপনার থাকে তাহলে আপনি থাকবেন সবার থেকে কয়েকধাপ এগিয়ে।