ভালো ফ্রিজ চেনার উপায় :ফ্রস্ট না নন ফ্রস্ট ফ্রিজ !
আপনি যদি ভালো ফ্রিজ চিনতে না পারেন তাহলে নিচের চারটা বিষয় দেখে ও জেনে ফ্রিজ ক্রয় করুন তাহলে ভালো ফ্রিজ পেয়ে যাবেন। ফ্রিজ কেনার সময় দেশী ও বিদেশী ব্রান্ডের ফ্রিজ গুলোর মধ্যে উক্ত কম্পোনেন্ট গুলো আছে কি-না জেনে, গ্যারান্টি সহকারে ফ্রিজ কিনলে ভালো ফ্রিজ পেয়ে যাবেন, যেগুলোকে বলতে পারেন ভালো ফ্রিজ চেনার উপায়।
১.কপার কনডেন্সার যুক্ত ফ্রিজ :
আপনি ফ্রিজ কেনার আগে দেখবেন ও জানবেন, যে ফ্রিজটি আপনি ক্রয় করছেন সেটার কনডেন্সার কিসের তৈরী। যদি কপার কনডেন্সার দিয়ে তৈরী না হয় তাহলে সেটা ক্রয় করবেন না। কপার মানে সংক্ষেপে কম্প্রোসারের সাথে তামার তৈরী কুলিং সিস্টেম পাইব বোঝালাম। যেগুলো ফ্রিজের পেছনে ও বডির ভিতরে থাকে। সেগুলো তামার কি-না দেখতে ও জানতে হবে। কপার কনডেন্সার যুক্ত ফ্রিজ অনেক টেকশই, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, ফ্রিজের গ্যাস লিকেজ হয় না, মরিচা পড়ে না, ক্যাপেলরী জ্যাম হয় না আর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়।
২.উন্নত মানের যুক্ত কম্প্রোসার ফ্রিজ:
ফ্রিজের কম্প্রোসার হলো ফ্রিজের মেইন মেশিন, বলতে পারেন যার উপর নির্ভর করে ফ্রিজটি কতদিন টিকবে, সার্ভিস কেমন দিবে। আপনার ফ্রিজের কম্প্রোসার যদি খারাপ মানের হয়ে থাকে তাহলে অনেক বিদ্যুৎ খরচ অনেক বাড়িয়ে দিবে। তাই ইনর্ভাটার টেকনোলজির কম্প্রোসার যুক্ত এবং উন্নত মানের কপার বাইন্ডিং ওয়্যার দ্বারা তৈরীকৃত কম্প্রোসার হলো উন্নত কম্প্রোসার। যেটা চেনা সবার জন্য অতো সোজা বিষয় না। এজন্য আপনাকে ট্রাস্টটেড বিশ্বস্ত কোম্পানির দেশীয় ব্রান্ডের গ্যারান্টি যুক্ত ফ্রিজ কিনতে হবে। যেমন- ম্যাটসন, ওয়ালটন, মার্সেল, মাইওয়ান, যমুনা ইত্যাদি ফ্রিজের কম্প্রোসারে ১০ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে থাকে।
৩.ফ্রস্ট না নন ফ্রস্ট ফ্রিজ :
আপনি যদি না জানেন ফ্রস্ট ও নন ফ্রস্ট ফ্রিজের পার্থক্য, সুবিধা-অসুবিধা, তাহলে ভালো ফ্রিজ কোনটা বুঝে উঠতে পারবেন না। তাই আগে জানতে হবে ফ্রস্ট না নন ফ্রস্ট ফ্রিজ কি?
যে ফ্রিজের ভিতরে ও সংরক্ষিত খাবারে বরফ জমে যায় তাকে ফ্রস্ট ফ্রিজ বলে। ডিপে রাখা খাবার সাথে সাথে খাওয়া যায় না।
অপর দিকে যে ফ্রিজের ভিতরে ও সংরক্ষিত খাবারে বরফ জমে না তাকে নন ফ্রস্ট ফ্রিজ বলে। নন ফ্রস্ট ফ্রিজে অনেক বিদ্যুৎ খরচ হয় এবং কারেন্ট চলে গেলে খাবার 2-3 ঘন্টার বেশি ভালো থাকে না। তাই আমাদের লোডশোডিং দেশে ফ্রোস্ট ফ্রিজ কেনা অনেক ভালো।
৪.ন্যানো হেলথ কেয়ার টেকনোলজি :
“স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল” আর যেখানে খারার সংক্ষরণ করবেন সেটা যদি স্বাস্থ্য সম্মত না হয় তাহলে তো ফ্রিজ কিনে আর কোন লাভ হলো না। তাই আপনাকে R134a গ্যাস সমৃদ্ধ ন্যানো হেলথ কেয়ার টেকনোলজির স্বাস্থ্য সম্মত ফ্রোস্ট ফ্রিজ কিনতে হবে। ন্যানো হেলথ কেয়ার টেকনোলজির কাজ হলো খাবার সংরক্ষণের সকল স্বাস্থ্য সম্মত উপায় যুক্ত থাকা। যেটা বেশির ভাগ ন্যানো হেলথ কেয়ার টেকনোলজি যুক্ত ফ্রিজের বডিতে স্টিকার দিয়ে লেখা থাকে। আপনি ফ্রিজ কেনার সময় বাডি স্টিকার গুলো ভালো ভাবে পড়ে দেখতে পারেন।
কোন ফ্রিজ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী :
বাংলাদেশে হলো লোডশোডিং এর দেশে, তাই বর্তমানে প্রায় বেশির ভাগ নতুন টেকনোলজি যুক্ত ফ্রোস্ট ফ্রিজ গুলো অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়ে থাকে। যার মধ্যে দেশীয় ব্রান্ডের ফ্রিজ ম্যাটসন, ওয়ালটন, মার্সেল, মাইওয়ান, যমুনা, মিনিস্টার ইত্যাদি রয়েছে। এসব ব্রান্ডের প্রতিটা ফ্রস্ট ফ্রিজে কপার কনডেন্স এবং উন্নত মানের কম্প্রোসার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর ফ্রস্ট টেকনোলজির তৈরী ফ্রিজে ওভার বরফ জমে গেলে অটো অন-স্টপ হয়ে থাকে, যেজন্য অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়। ভালো ফ্রিজ কিনতে হলে উপরের উল্লেখিত বিষয় গুলো দেখে জেনে ক্রয় করতে হবে।